শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন
মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর ভক্তবৃন্দ ও দোকানীরা আসছেন মেলায়। বসছেন পসরা সাজিয়ে। দিন দিন মেলার জনপ্রিয়তা বাড়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছে। এদিকে মেলায় আগত মানুষের জন্য তিনস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, ১৪০ বছর পূর্বে জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৩ তারিখে ১৩ জন সাধু ১৩ কেজি চাল ও ১৩ টাকা নিয়ে কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় ভারতের কুম্ভমেলাকে অনুসরণ করে এ মেলার আয়োজন করেন। সেই থেকে গনেশ পাগল সেবাশ্রমে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এক রাতের মেলা হলেও মেলা চলে সপ্তাহ ব্যাপী। প্রায় ২০ থেকে ৩০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে এই মেলায়।
শুক্রবার সকাল থেকেই দলে দলে ঢোল ও ডংকাসহ নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জয় হরিবল ও জয়বাবা গনেশ পাগল ধ্বণি করতে করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু সন্যাসী ও ভক্তবৃন্দরা বাসে, ট্রাকে, ট্রলারে ও পদব্রজে মেলা প্রাঙ্গনে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও অন্যান্য রাষ্ট্র থেকেও বহু ভক্তবৃন্দ আসে ঐতিহ্যবাহী এ মেলায়।
সেবাশ্রমটি ঘিরে প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে সারি সারি নানা রকমের দোকান। পুরো মেলাটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করছে কর্তৃপক্ষ। মেলার হাজারো দোকনে পছন্দের জিনিস সুলভ মূল্যে কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। আর বেচাকেনা বাড়ায় খুশি বিক্রেতারা। মেলা সোমবার শেষ হলেও বেচাকেনা চলবে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত।
গনেশ পাগল মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন- গত দুই বছর করোনার কারণে মেলাটি বন্ধ ছিল। এই বছর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতায় দিন দিন মেলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
সেবাশ্রমের সেবাইত নবীন গোসাই বলেন- প্রতি বছরের মতো এবছরও পাগলের সকল ভক্তদের জন্য প্রসাদের (খিচুড়ি) ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন- ইতোমধ্যে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। এ মেলাকে ঘিরে যেন কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য ১২০ জনের অধিক অফিসার ও ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা করেছি।